এম কে হীরা মানিক সারিয়াকান্দি, বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌর এলাকায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ের মাঠে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। রাস্তা এবং আশে পাশের বাসা বাড়ী উঁচু থাকায় পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা নেই। বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে কাদা জমে থাকে। সমস্ত মাঠ বৃষ্টির পানিতে ভরে থাকে। যার ফলে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করতে ছাত্রীদের পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। তাই বিদ্যালয়ের মাঠ উঁচু করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিদ্যালয়ের ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক মণ্ডলী সহ অনেকে। কারণ সামনে বর্ষাকাল আসছে। বর্ষাকালে পুড়ো মাঠ বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। তাই মাটি কেটে মাঠ উঁচু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান সকলে। ছাত্রীদের সাথে এবিষয়ে কথা
বললে তারা জানান, বিদ্যালয়ের মাঠটি অনেক নিচু। সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠ পানিতে ভরে যায়। পানি জমে থাকার কারনে আমরা ক্লাস শুরুর পূর্বে প্রথম সমাবেশ ও খেলাধুলা করতে পারিনা। কারণ শারীরিক চর্চা ও খেলাধুলা শিক্ষার একটি অংশ। শ্রেণি কক্ষে যেতে অনেক সময় পিচলে পড়ে গিয়ে জামা কাপড় নোংরা ও বই খাতা ভিজিয়ে যায়। এখন গ্রীষ্মকাল চলছে তাতেই মাঠের এই অবস্থা। যখন বর্ষাকাল আসবে তখন আমাদের বিদ্যালয়ে আসা অনেক কষ্ট হবে। তাছাড়াও এখান থেকে ডেঙ্গু ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত সময় গিয়েছে কিন্তু মাঠ সংস্কারের কাজ হয়নি। তাই বিদ্যালয়ের মাঠ যেন মাটি কেটে উঁচু করা হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই দাবী জানাই। সহকারী শিক্ষক আসাদুজ্জামান রঞ্জু বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ একদম নিচু। মাটি কেটে ভরাট করা অতি জরুরি। সহকারী প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন আকন্দ জানান, বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে বিদ্যালয়ে প্রথম সমাবেশ হয় না। ছাত্রীরা শ্রেণি কক্ষ থেকে বের হতে পারে না। খুব জরাজীর্ণ অবস্থায় চলাচল করতে হয়। মাটি কেটে ভরাট সহ পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান শিক্ষক, সাকী মো: জাকিউল আলম ডুয়েল বলেন, আমার বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫০০’শ ছাত্রী লেখা পড়া করে। তাছাড়াও বিদ্যালয়টি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র। বিদ্যালয়ের মাঠ নিচু থাকায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। এতে করে ছাত্রী ও শিক্ষক মণ্ডলী সহ সকলের চলাচলের সমস্যা হয়। শ্রেণি কক্ষে যেতে অনেক সময় ছাত্রীদের জামা কাপড় নোংরা হয়ে যায়। আমার বিদ্যালয় তহবিলে অর্থ না থাকায় নিজ উদ্যোগে সংস্কার করতে পারছি না। তাই মাঠ সংস্কারের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির (এডহক কমিটি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম পলাশ মন্ডল বলেন, আমি এই বিদ্যালয়ে অল্পদিন হলে সভাপতি মনোনীত হয়েছি। ইতিপূর্বে বিদ্যালয়ে অনেকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন। তারা কি করেছেন জানি না। কিন্তু আমি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পরেই চোখ পড়েছে বিদ্যালয়ের মাঠের দিকে। মাঠ যদি নিচু থাকে তাহলে প্রথমে যে সমাবেশ হয় ছাত্রীরা এই সমাবেশ থেকে বঞ্চিত হবে, খেলাধুলা করতে পারবে না ও শ্রেণি কক্ষে যেতে অনেক কষ্ট হবে। এই চিন্তা থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, কমিটির সদস্যবৃন্দ সহ সকল শিক্ষক মণ্ডলীর সাথে আলোচনা করেছি। সেই মোতাবেক জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মাঠ সংস্কারের বরাদ্দ চেয়ে আবেদন দেওয়া হয়েছে। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিবেন। কারণ বিদ্যালয়ে যেভাবে পানি জমে থাকে, এখান থেকে ছাত্রীরা নানা রোগে আক্রান্ত হবে। বিদ্যালয়ের মাঠ উঁচু ও ঘাস লাগানো অতি জরুরি। তিনি আরও বলেন, আমি যতোদিন এই বিদ্যালয়ে সভাপতির দায়িত্বে আছি ততোদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাবো। যার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।