
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৪৫০ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এছাড়া একই ধরনের অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং তানোর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদের বিরুদ্ধেও পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম সংস্থার সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাগুলো দায়ের করেন বলে দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন নিশ্চিত করেছে।
প্রথম মামলায় ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ৬১ লাখ ১২ হাজার ৫৩৩ টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৫৭টি ব্যাংক হিসাবে ৪৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় তার স্ত্রী নিগার সুলতানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২ কোটি ২৩ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১১টি ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ৮৪৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে আসামি করা হয়েছে।
তৃতীয় মামলায় গোদাগাড়ির সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ১ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার ১০১ টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চতুর্থ মামলায় তানোর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদের বিরুদ্ধে ৩৯ লাখ ৬৮ হাজার ৬১১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, এসব মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।