নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় ৬ নং জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে ককটেল সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার ও দেশি অস্ত্রশস্ত্রসহ ৫ জন কে আটক করেছে স্থানীয় জনগণসহ মোহনপুর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ মে ) দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টায়, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে জমি-জমার বিরোধ সংক্রান্তে সালিশ চলাকালে সময়ে তাদের কে আটক কর হয়। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানান যে,মোহনপুর থানাধীন ০৬নং জাহানাবাদ ইউনিয়ন অন্তর্গত কোটালীপাড়া বাজার সংলগ্ন ১৪(চৌদ্দ) শতাংশ জমি দোকানসহ নিয়ে ০৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি জনাব জাহাঙ্গীর আলম(৪০), পিতা-মৃত আবুল কাশেম, গ্রাম-কোটালীপাড়া, থানা- মোহনপুর, জেলা-রাজশাহী’র সাথে কৃষক জনাব রফিকুল ইসলাম(৪৮), পিতা-মৃত নুরু শাহ, গ্রাম-ফতেপুর, থানা- মোহনপুর, জেলা-রাজশাহী’র মধ্যে বিভিন্ন সময়ে দ্বন্দ্ব-ফাসাদ চলছিল । এক পর্যায়ে অদ্য সময় ১২:০৫ ঘটিকায় মোহনপুর উপজেলা বিএনপির সেক্রেটারি জনাব মাহবুব আর রশিদ উভয় পক্ষ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে জমি-জমা বিরোধ সংক্রান্তে সালিশ বৈঠকে বসে। বৈঠক চলাকালে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ কম্পাউন্ডের ভেতর
অ্যাপাচি আরটিআর ১৫০ সিসি ও ডাউন ৮০ সিসি দুইটি মোটরসাইকেলের সাথে দেশি অস্ত্রশস্ত্র ও ককটেল সাদৃশ্য বস্তু স্কুল ব্যাগের ভেতর পলিথিন দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় সাধারণ জনগণ দেখতে পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে মোহনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপরোক্ত মালামাল উদ্ধার করেন । একই সাথে উপরোক্ত মালামাল আনয়নকারী মোহনপুর উপজেলা নওপাড়া গ্রামের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে
আলিফ হোসেন (১৮), রাজশাহী শাহমখদুম থানার নওদাপাড়া এলাকার শাহিনুর রহমানের ছেলে সোহাগ আহমেদ(২৯), চন্দ্রিমা থানা শালবাগান এলাকার বাবলার ছেলে বাপ্পি(৩০), পাপ্পু(২৮),পবা থানা শ্রীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে মারুফ মোর্তুজা(২৭), গ্রেফতার পূর্বক ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের দোতলা ভবনের একটি কক্ষে আটকে রাখেন। সালিশ চলমান অবস্থাযয় তাদের কে আইন-শৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখার পরে রাজশাহী সিআরটি ও স্পেশাল ফোর্স পুলিশসহ মোহনপুর উপজেলা ফায়ার সিভিল সার্জন উপস্থিত হয়ে ককটেল বোমাটি বিস্ফোরনের প্রক্রিয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন । এ বিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) আতাউর রহমান বলেন আটক কৃতিদের তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে
আইনের আওতায় শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।