বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
পবিত্র হজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগমারায় আল-বায়া সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আককাছ আলী শেখ ও সম্পাদক রায়হান আলী শেখের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির দুটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজশাহীর আমলী আদালতে পৃথকভাবে মামলা দুটি করা হয়। আককাছ আলী ও রায়হান আলী সম্পর্কে বাবা-ছেলে। তাদের বাড়ি গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের তেলিপুকুর গ্রামে। মামলার বাদীরা হলেন, যুগান্তর ও দৈনিক সোনালী সংবাদের বাগমারা প্রতিনিধি সাংবাদিক আবু বাককার সুজন ও তার ছোট ভাই আফজাল হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক আবু বাককার সুজন ও তার স্ত্রীকে ভালো এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনের কথা বলে সাংবাদিক সুজনের কাছে থেকে ১২ লাখ টাকা নেয় প্রতারক বাবা-ছেলে। পাশাপাশি সাংবাদিক সুজনের ছোট ভাই বাবাকে হজে পাঠানোর জন্য তাদের ৫ লাখ টাকা দেন। হজে না পাঠিয়ে তাদের ১৭ লাখ টাকা আত্মসাত করেছে অভিযুক্তরা। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ ইউএনও এবং বাগমারা থানার ওসিকে জানান সাংবাদিক সুজন। পরে এ নিয়ে সালিশি বৈঠকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারী তারিখের কথা বলে প্রতারক বাবা-ছেলে। চেক ও লিখে দেন তারা। কিন্তু ১৮ ফেব্রুয়ারী সাংবাদিক সুজন ও আফজাল সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে চেক দুটি ডিজঅনার হয়। এর জেরে প্রতারক বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে ১৮৮১ সালের নেগোসিয়েবল ইন্সট্রমেন্ট এ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় মামলা করেন সাংবাদিক সুজন ও তার ভাই আফজাল।
অভিযোগ রয়েছে, ভবানীগঞ্জ বাজারে ‘আল-বায়া সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে একটি সমিতি চালু করে বাগমারা, দুর্গাপুর ও আত্রাই উপজেলার প্রায় শতাধিক লোকজনের কাছে থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করে তা আত্মসাত করেছে প্রতারক আককাছ আলী ও রায়হান আলী। আত্পমসাতের পন্থা অবলম্বন করে অল্প দিনের মধ্যে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে তারা। কিনেছে পাঁচটি ট্রাক। তেলিপুকুর বাজারে নির্মাণ করেছে বিলাসবহুল বাড়ি। এ বিষয়ে বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতারক ওই বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই বিভিন্ন লোকজন অভিযোগ নিয়ে থানায় আসছে। কিন্তু তাদের কাছে ওই সমিতির পাশ বই ছাড়া আর অন্য কোনো ডকুমেন্ট না থাকায় তারা মামলা করতে পারছে না।’
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন জানান, বিচারক মামলা দুটি আমলে নিয়ে আসামীদ্বয়ের প্রতি সমন জারি করেছেন।