বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারার তাহেরপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার, ৩১ মে বিকেল পাঁচটায় তাহেরপুর পৌর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে পৌরসভা অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
তাহেরপুর পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তাহেরপুর পৌর বিএনপির আহবায়ক, সাবেক মেয়র এবং রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য আ.ন.ম সামসুর রহমান মিন্টু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং মুখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ও কলা অনুষদের সাবেক ডীন ড. মোঃ ফজলুল হক।
তিনি বলেন, পতিত সরকারের বিচার নিশ্চিত এবং জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং তাঁর সহযোগী শক্তি যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছেন, সেই শক্তি ছাড়া তৃতীয় কোন শক্তি যেন রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে না পারে। পাশাপাশি তাদেরকে যেন পুনর্বাসিত হওয়ার কেউ সুযোগ তৈরি না করে দেয় সেটিও অন্তবর্তী সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার ব্যাপারেও তিনি তাগিদ দেন বর্তমান সরকারকে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ডীন, ফিসারিজ অনুষদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রফেসর ড. মাসুদুল হাসান খান, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য, সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা মামুন।
বক্তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন দেশের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ববোধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন।
তাঁরা বলেন, একাত্তর সালে সেক্টর কমান্ডার হিসাবে তিনি প্রথম যে কথাটি বলেন সেটি হলো, যদি একটি বুলেট আসে তাহলে প্রথম সেটি আমার বুকে লাগবে। তাঁর সেই কথায় সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা অনুপ্রানিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।
তাঁর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করলে দেশ কাঙ্খিত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে বলেও জানান বক্তারা।
পাশাপাশি বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের সমালোচনা করে তাঁরা বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচন দিতে কালক্ষেপণ করছেন। তাঁরা ক্ষমতার মোহ ছাড়তে পারছেন না, সেজন্য দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।
প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন অবিসংবাদিত নেতা। তিনি যদি দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতায় থাকতেন বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের শিখরে পৌঁছে যেত।
আরেক বক্তা প্রফেসর ড. মাসুদুর রহমান খান বলেন, একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখন ভারতে পালাতে ব্যস্ত তখন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পরিবারের ও নিজের জীবনের কথা না ভেবে বুক ভরা সাহস নিয়ে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জিয়াউর রহমানের আদর্শ ছিলো সততা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত।
গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ইতিহাসের এমন একজন ব্যক্তি যাঁর ইতিহাস কোনো দিন মোছা যাবে না। স্বাধীনতা যুদ্ধের রক্তের সাথে মিশে আছে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম।
এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে রাজশাহী জেলা ও তাহেরপুর পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্য শেষে দেশ ও জনগণের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত অন্তে তবারক বিতরণ করা হয়।