মোঃ মোবারক, বাগমারা:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার খোদাপুর গ্রামে হটাৎ পান বরজে আগুন লেগে প্রায় ৬০ জন কৃষকের কোটি-কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ১ ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে বাগমারা উপজেলার ৫নং আউচপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত খোদাপুর সরদারপাড়া বিলের পান বরজে এই অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়। জুম্মার নামাজের সময় হওয়ায় পানের বরজে কোনো লোকজন ছিল না।এমন সময় পান বরজের দক্ষিন পার্শ্বে আগুন জ্বলতে দেখে পান বরজের কয়েকজন কৃষকরা চিৎকার শুরু করলে গ্রামের আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং বাগমারা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও পার্শ্ববর্তী মোহনপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।খবর পেয়ে মোহনপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করে এবং অবশেষে ২ টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিভাতে সক্ষম হন।
এ আগুন লাগার ঘটনায় কৃষকদের আনুমানিক ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।নতুন বছর হওয়ার পান বরজে পুরানো অনেক পান ছিল যা এখন দুঃস্বপ্ন। আগুন লাগার কারন জানা যায়নি, তবে ধারনা করা হচ্ছে বিড়ি -সিগারেটের আগুন থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত।
খোদাপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক গনের মধ্যে মোহাম্মদ আজিজুল এর ০৫ কাঠা, ছলামের ০৫ , সাহেব আলীর ১৫ , লায়েব আলীর ১০, এনতাজ আলীর ১৫, আমান আলীর ৩০, ফরিদ উদ্দিন ২০, আলাউদ্দিন আলীর ৪০, মাহির উদ্দিন এর ৩০ কাঠা আ: সালাম এর,৩০ , মোকসেদ আলীর ২৫ কাঠা সহ প্রায় ৬০ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে । জুম্মার নামাজের সময় হটাৎ পান বরজের দক্ষিন পার্শ্বে কিছুটা আগুন দেখা যায়। মুহূর্তেই তা বড় আকার ধারন করে ভয়াবহ রুপ নেই। স্থানীয় কৃষক ও ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। কিন্তু তার আগেই আমাদের, ৩৬ বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কষকরা উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সাব অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করি। মোহনপুর ও বাগমারা উপজেলার দুইটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন সম্পুর্নভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে পান বরজের কাজের লোকজনের বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকেই ঘটনার সুত্রপাত।
বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, আপনার থেকেই শুনলাম এই মর্মান্তিক ঘটনা। কৃষি অফিসারের মাধ্যমে ভিজিট করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগীতা করা হবে।