
এম কে হীরা মানিক, সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রতিনিধি :
৩৬ বগুড়া ১ সারিয়াকান্দি-সোনাতলা এলাকা নিয়ে এ আসনটি গঠিত। এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরই মধ্যে জোরেসোরে মাঠে নেমেছেন সম্ভব্য প্রার্থীরা। তবে ৫ই আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট হাসিানা দেশ ছেড়ে পালানোর পর ১০ জন বিএনপি প্রার্থী এবং একজন জামায়াত প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তারা শান্তিপূর্নভাবে গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও পাল্টা-পাল্টি কর্মী সভা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঈদুল আযহার পরে আরো তৎপর হয়েছেন নির্বাচনী এলাকার মাঠে। নির্বাচনী এলাকায় পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। কর্মী সমর্থক ও সাধারন ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন। গণ-সংযোগের পাশাপাশি ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশিদের অনেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে লন্ডনে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করছেন। এরকম তদবির ও লবিং গ্রুপিং এ এগিয়ে আছেন বিএনপি‘র সম্ভব্যপ্রার্থীরা। তারা হলেন সাবেক মহিলা এমপি মমতাজ বেগম, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা ড্যাব নেতা ডাঃ শাহ্ মোঃ শাহজাহান আলী, জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রী নেতা এ কে এম মোশারফ হোসেন, এ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি, সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান হিরু মন্ডল, কর্নেল (অবঃ) জগলুল আহসান, মহিদুল ইসলাম রিপন, একেএম আহসান তৈয়ব জাকির এবং সাবেক এমপি ও জাতীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম নির্বাচনীয় এলাকায় বেশ তৎপর। শেখ মুজিবর রহমানের আমলের দুঃশাসনের জন্য আসনটি হাতছাড়া হওয়ার পর বিএনপির দূর্গ হিসাবে স্থান লাভ করে। জামায়াত দ্বিতীয় স্থানেও থাকলেও ৩ৃতীয় স্থানে থাকা আওয়ামীলীগ অনিয়ম, ভোট জালিয়াতি, দিনের ভোট রাতে ও ছলচাতুরির সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি আওয়ামীলীগের হাতে চলে যায় এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রী নেতা আব্দুল মান্নান টানা ৩ বার সংসদ সদস্য হন। মান্নানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী শাহাদারা মান্নান ড্যামি ভোট হিসেবে পরিচিত নির্বাচনে সংসদ সদস্য বনে জান। যমুনা নদীর ভাঙ্গনে সর্বস্বহারা হয়ে পৌর এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের যায়গায় ঘর-দোর তোলা বেকার আব্দুল মান্নান দম্পতি হয়ে যান একটি বেসরকারী ব্যাংক মালিক। আওয়ামীলীগ ছাড়া আগামী এয়োদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটি আবার বিএনপির দখলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু প্রার্থীরা মাঠে সরব রয়েছেন সেহেতু তারাই আশা করছেন মনোনয়ন লাভের। তাদের মধ্যে সোনাতলার সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বহু মামলা-হামলার শিকার, ত্যাগী নেতা হিসাবে পরিচিত একেএম আহসান তৈয়ব জাকিরের সাথে কথা বলে জানা যায়, যেহেতু দলের জন্য ১৫ বছরে বহু মামলা-হামলার শিকার হয়েছে সেহেতু দলের হাই কমান্ড আমাকেই মনোনয়ন দিবেন তাছাড়াও উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম নির্বাচণী এলাকায় ক্লিন ইমেজের, জননন্দিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তার সময় নদী ভাঙ্গনের স্থায়ী বাঁধ সবার সামনে দৃশ্যমান। একাধিক মামলা-হামলার শিকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী রফিকুল ইসলাম আশাবাদী মনোনয়ন লাভের জন্য। রুহুল আমিন বিপ্লব, সাদিক, রিমন, মহিদুর, লাল মিয়া সহ অনেক ভোটার আশা করছেন কাজী রফিকুল ইসলামকে দল মনোনয়ন দেবেন। অপরদিক ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ড থেকে ছিটকে পরা আওয়ামীলীগ নেত্রী ড্যামি প্রার্থী হিসেবে তবলা প্রতিকে শাহাজাদী আলম লিপি স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করেন। এবারও প্রতিদ্বন্দীতা করার জন্য প্রচারনা চালাচ্ছে। অন্য দিকে জামায়াতের একক প্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ শাহাবুদ্দিন নির্বাচনী এলাকার পথ-ঘাট, গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার থেকে শুরু করে সাধারন মানুষের মন জয়ের জন্য এবার কোমরে গামছা বেঁধে মাঠে নেমেছেন। উপজেলায় দল আছে তবে নির্বাচনী মাঠে নেই এনসিপি‘র কোন নেতা-কর্মী ।