1. admin@dailygrambangla24.com : admin :
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বাগমারায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিসেবে সাইফুল ইসলাম ভূঁঞা’র যোগদান বাগমারায় কলেজ শিক্ষকের অবসর জনিত বিদায় অনুষ্ঠিত ভূরুঙ্গামারীতে মাদককারবারি সন্দেহে ৫ জন আটক ‎দশম গ্রেড ও শিক্ষক-নিপীড়নের প্রতিবাদে উত্তাল লালমনিরহাট রাজশাহীর বাগমারায় জামায়াতে ইসলামী উদ্যোগে মহিলা ও পুরুষদের নিয়ে সুধী সমাবেশ ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত   রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে খ্যাতিমান লাঠিয়াল আঃ কাদের স্মরনে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরব থেকে লাশ হয়ে দেশে ফিরলেন বাগমারার আনামুল ‎শহীদ আবুল কাশেমের ত্যাগ ও অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে ৫৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত বাগমারার আউচপাড়ায় জামায়াতের কর্মীসভা ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রাণ ফিরে পাচ্ছে রাণীনগরের পাখি পল্লী পর্যটন এলাকার রতনডারা খাল 

দৈনিক গ্রামবাংলা ২৪ ডেস্ক:
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫
  • ১১৫ বার পঠিত

 

গ্রামবাংলা নিউজ:

নওগাঁর রাণীনগরের ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলের সংযোগ খাল রতনডারা। যে খালের দুই পাশ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে পাখি পল্লী, মৎস্য অভয়ারণ্য ও পর্যটন এলাকা। বর্ষা মৌসুমে পানিতে টইটম্বুর হওয়া বিল ও খালটি দর্শন করতে এলাকাটি দর্শনার্থীদের আগমনে জমজমাট হয়ে ওঠে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে বিল ও খালের সৌন্দর্য প্রকাশে এবং নৌকা চলাচলের বড় বাধা ছিলো কচুরিপানা। পাখি পল্লীর সৌন্দর্য নষ্ট করার প্রধান অন্তরায় ছিলো খালে জমে থাকা এই কচুরিপানা।

পর্যটন এলাকায় আসা দর্শনার্থীরা যেন সহজেই নৌকা করে বর্ষার রূপ ও পর্যটন এলাকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন সেই জন্য সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করে খালের পানি ও নৌকা চলাচলে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া এলাকাটি পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষনীয় করতে পর্যটন এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বহুমুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান।

পর্যটন এলাকাটি দর্শন করতে আসা দর্শনার্থী মো: হাসানুর রহমান জানান পরিবারসহ নিরিবিলি পরিবেশে প্রকৃতির সঙ্গে একটু সময় কাটানোর জন্য পর্যটন এলাকাটি খুবই উপযোগি। কিন্তু খালে থাকা কচুরিপানা এই এলাকার সৌন্দর্য নষ্ট করছিলো। এছাড়া নৌকায় করে এলাকাটির সৌন্দর্য উপভোগের বড় বাধা ছিলো এই কচুরিপানা। বর্তমানে খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করায় নতুন একটি পরিবেশে ফিরে এসেছে পর্যটন এলাকায়। এখন দর্শনার্থীরা সহজেই নৌকায় করে ঘুরতে পারছেন। পর্যটন এলাকাকে আরো আকর্ষনীয় করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

পাখি পল্লীকে ঘিরে এই এলাকায় গড়ে উঠেছে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের। গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অর্ধশতাধিক দোকান। সম্প্রতি খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করে নৌকা চলাচলের উপযোগি করায় এখন পর্যটকদের আনাগোনা অনেকটাই বেড়েছে। বর্তমান ইউএনও স্যারের নেতৃত্বে দিন দিন এই পর্যটন এলাকা নতুন রূপায়নের মাধ্যমে পর্যটক বান্ধব হয়ে উঠছে। প্রশাসনিক সদিচ্ছার সঙ্গে সকলের সম্মিলিত প্রচেস্টায় একদিন এই পাখি পল্লী জেলার সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান জানান পূর্বের স্যারের শুরু করা অসমাপ্ত কাজকে আরো সৌন্দর্য বর্ধন করে কিভাবে পর্যটনমুখি করা যায় সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে এই খালের দুই পাশে পর্যটকদের সহজেই চলাচলের জন্য একটি আকর্ষনীয় ঝুলন্ত সেতু দ্রুতই নির্মাণ করা হবে।

তিনি আরো জানান পর্যটন এলাকায় পাখিদের আরো অবাধ বিচরনের জন্য পাখি ও পরিবেশে বান্ধব গাছ রোপন করার কাজ চলমান রয়েছে। পর্যটকদের জন্য নিরাপদ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিনির্মাণ করে এই এলাকাকে আরো আকর্ষনীয় করে পর্যটন বান্ধব করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। ভবিষ্যতে এখানকার পরিবেশ ও পর্যটন সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে এই ধরনের আরো উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। প্রকৃতির প্রতি সবার ভালোবাসা ও সহানুভূতিসহ সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে একটি নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এই পাখি পল্লীকে আরো ভিন্ন ভাবে বিনির্মাণ করতে স্থানীয় বাসিন্দাসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সুদৃষ্টি  ও সহযোগীতা কামনা করেছেন তিনি।

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর