আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় জন্মভূমি বাগমারা (নরদাশ) সহ দেশবাসী সবাইকে জানাই আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বছর ঘুরে ফিরে এলো ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল পবিত্র ঈদুল আযহা। সুদ-ঘুষ, দুর্নীতি, হিংসা-বিদ্বেষ, সংকীর্ণতা, কুটিলতা , মনোমালিন্য পরিহার করে পারস্পরিক সৌহার্দ্য স্থাপনের মাধ্যমে এই ঈদ অনাবিল আনন্দ, সুখ, শান্তি সম্প্রীতির বার্তা বয়ে আনুক। “ঈদ-উল-আযহা সমাজের সকল ভেদরেখা ও সীমানা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মহামিলন ঘটায় এবং সৃষ্টি করে পরস্পরের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছাবোধ। ধনী-গরিব, উঁচু-নিচু নির্বিশেষে সকল মানুষকে এক কাতারে দাঁড় করায়।
আমরা জানি, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। সুশিক্ষায় শিক্ষিত জাতি কখনো পথভ্রষ্ট হয়না। একজন শিক্ষক হিসেবে সকলের প্রতি আহবান, কোমলমতি সন্তানদের প্রতি নজর রাখুন। আপনার সন্তান আগামীর ভবিষ্যৎ, দেশের সম্পদ। নষ্ট হতে যাওয়া সমাজের পরতে পরতে ভয় আর শঙ্কা। মাদক, স্মার্টফোন, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস যেন সমাজের বুকে একেকটা ভয়াবহ ক্ষত! এইসব অভিশাপ থেকে আমাদের সন্তানদের বাঁচাতে, আসুন সবাই সচেতন হই। পারিবারিক, সামাজিক সম্পর্ক শক্তিশালী করি।
তাই আমার বাগমারা বাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহর প্রতি আমার আহ্বান ত্যাগের মহিমায় উদ্দীপ্ত হয়ে সমাজের দরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য সবার প্রতি আমি বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি। “ঈদ মোবারক” ।