1. admin@dailygrambangla24.com : admin :
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বাগমারায় নদী থেকে এক যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার মাত্র ৫০০/৬০০ গ্রাম লাকড়ি দিয়ে এক ঘন্টা জ্বলবে  LSC STOVE. এর লাকড়ি চুলা বগুড়ার কাহালুতে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার সাতক্ষীরা মেডিকেলে ওয়ার্ড বয়ের কাণ্ড : ডাস্টবিন থেকে ওষুধ তুলে রোগীর কাছে বিক্রি ! প্রাইভেট ছাত্রীকে ধর্ষণের অপরাধে ধর্ষক শিক্ষক গ্রেফতার পোরশায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মশিদপুর ইউনিয়নের কমিটি গঠন বগুড়ায় ঈদের দিন সকালে বাবা-ছেলে নিহতের ঘটনায় বাস চালক গ্রেপ্তার সাতক্ষীরায়  মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট বাগমারায় দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১২ লাখ টাকার মাছ নিধন বাগমারার করখন্ড মাদ্রাসায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী

টাঙ্গাইলে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত

দৈনিক গ্রামবাংলা ২৪ ডেস্ক:
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
  • ৭৩ বার পঠিত

গ্রাম বাংলা নিউজ:

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে টাঙ্গাইলের খামারিরা গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলার ১২টি উপজেলায় ২ লাখ ১১ হাজার ৯৭৪ পশুর চাহিদা থাকলেও খামারগুলোতে চাহিদার অতিরিক্ত ২৯ হাজার ৪৪৪ টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়েও খামারিরা বাড়তি পশু জেলার বাইরে বিক্রি করার প্রস্ততি নিচ্ছেন।
জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর জানায়, টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় ২৬ হাজার ২০৩ টি ছোট-বড় খামার রয়েছে।খামারগুলোতে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলায় ইতোমধ্যে কোরবানিযোগ্য ২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৯০টি পশু প্রস্তত করা হয়েছে। জেলায় এবার ২ লাখ ১১ হাজার ৯৭৪ কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চাহিদা মিটিয়েও খামারিরা জেলার বাইরে গরু বিক্রি করবেন।
খামারিরা জানায়, জেলার প্রায় সব খামারেই কোনো প্রকার ক্ষতিকারক ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়ে থাকে। অল্প সময়ে গরু মোটাতাজা করতে গরুকে সাধারণত হরমোন, ডেক্সামিথাজল, ডেকাসন, স্টোরেয়েড ইত্যাদি জাতীয় বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ানো হয়।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মায়ের দোয়া গরুর খামারের মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি ১২ বছর যাবত গরু লালন পালন করি । বছরে ২ থেকে ৩ বার গরু বিক্রি করে থাকি। এবার শীতে ক্রস গরু বিক্রি করেছি । এ বছর ঈদুল আজহায় বিক্রির জন্য ২৫টি গরু মোটাতাজা করে প্রস্তুত করছি।এ বছর খাবারের দাম বেশি । দেশের যে অবস্থা আতংকের মধ্যেই আছি ।আশায় আছি আল্লাহ যেন মুখ ফিরে চায় ।১০০ ডিসিমাল ঘাস বুনছি ,কুড়া ভুষিও ভুট্রা সব মিক্য্রার খাবার এভাবেই আমারা গরু কে খাওয়াই ।
টাঙ্গাইল পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড সন্তোষ বালুচড়ার বুলবুল হোসেন বলেন – আমি ২২ টি গরু লালন পালস করছি কিন্তু খাদ্যর যে দাম সে তুলনায় লাভ দেখা যায় না । দেশীয় জাতের গরুগুলোর খাবারের তালিকায় রয়েছে- খৈল, ভূষি, খড়, সবুজ ঘাস, ভুট্টা ,ছোলা ও ঝাউ ইত্যাদির মতো প্রাকৃতিক খাবার।
কালিহাতীর হরিপুর গ্রামের ভাই-বোন এগ্রো ফার্মের মালিক কামরুল হাসান হিরন জানান, তিনি গত ছয় বছর ধরে ফার্মে গরু মোটাতাজাকরণ করে কোরবানির ঈদে বিক্রি করে থাকেন। এবার তার ফার্মে কোরবানির জন্য ছোট-বড় ৯টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে তিনি গরুগুলো মোটাতাজা করেছেন। তার ফার্মের সবচেয়ে ছোট গরুর ওজন সাড়ে ৫০০ কেজি এবং সবচেয়ে বড় গরুর ওজন প্রায় ১০০০ কেজি। তিনি গরুগুলো কোরবানির হাটে ওঠানোর চিন্তা করছেন। তবে কোনো গ্রাহক বাড়ি থেকে গরু কিনতে চাইলে তিনি হাটের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করবেন।আলহেরা এগ্রো ফার্মের দায়িত্বরত শহিদুল ইসলাম জানান, আলহেরা এগ্রো ফার্মটি সৈয়দ নাজমুল হাসান প্রতিষ্ঠা করেন। এ ফার্মটি জামিয়া আল হেরা মাদরাসার নামে ওয়াক্ফ করে দেওয়া হয়েছে। এ ফার্ম থেকে প্রতিবছর তাদের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত গরুগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়।
খামারি শাহরিয়ার, নজরুল ইসলাম, ওমর ফারুকক সহ অনেকেই জানান, তারা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রাকৃতিক উপায়ে খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় দেশীয় গরুর চাহিদা বেশি থাকায় তারা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে দেশীয় গরু বিক্রি করে থাকেন।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডা. মোঃ মোস্তফিজুর রহমান জানান, এবার জেলায় অতিরিক্ত প্রায় ২০ হাজার গরু মোটাতাজাকরণ করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়েও পশু বাড়তি থাকবে। সুতরাং অহেতুক বা সিন্ডিকেট তৈরি করে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ এবার থাকছে না। ঈদুল আজহায় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা প্রতিটি খামারিকে জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর থেকে বছরজুড়ে নানাভাবে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর