
স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা:
গোয়াল ঘরের ভয়াবহ আগুনে গরু-ছাগল পুড়ে যাওয়া প্রায় নিঃস্ব হওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাগমারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক কামাল হোসেন। গত ১৩ মে, দিবাগত রাতে গোয়াল ঘরে কয়েল থেকে আগুন লেগে চারটি গরু, একটি ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ অন্যান্য সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে কৃষক আমেদ আলীর প্রায় ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে বিএনপি নেতা অধ্যাপক কামাল হোসেনের। মানবিক বিবেকবোধ জাগ্রত হওয়ায় তিনি আজ শুক্রবার, ১৬ মে বিকেলে ঘটনাস্থল নরদাশ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসেন।
এ সময় তিনি আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদেরকে সান্তনা দেন এবং তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এর আগে তিনি গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের দামনাশ গ্রামে গত ১৩ মে, ভোরে স্বর্ণকার খোকন চন্দ্রের বাসায় ডাকাতির ঘটনায় আহত খোকন মন্ডল ও তার স্ত্রী দীপ্তি রানীকে দেখতে যান। সেখানে তিনি উভয়ের শারীরিক খোঁজখবর নেন।
এ সময় তাঁর সার্বক্ষণিক সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন, বাগমারা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এবং কাচারি কোয়ালিপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার মোঃ আব্দুল গাফফার, উপজেলা বিএনপির সদস্য এবং বড় বিহানালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মিলন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এবং সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার মোঃ মোশাররফ হোসেন, বিএনপি নেতা প্রভাষক মোঃ দুলাল হোসেন, নরদাশ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী বাচ্চু, পানিয়া নরদাশ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান জর্জ, শাহাদত হোসেন, নরদাশ ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন, যুবদল নেতা আমজাদ হোসেন, ফজলুর রহমানসহ উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।
পরিদর্শন শেষে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং পরিবারের সদস্যদেরকে ধৈর্য ধারণ করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি সংস্থা থেকে যাতে আর্থিক সহায়তা পান এবং ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আমেদ আলী যাতে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সেজন্য সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলেও জানান তিনি।